“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত” – অনেক বছর আগে কথাটি বলেছিলেন প্রমথ চৌধুরী। সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বেশ চমৎকার কিছু কথা বলেছেন খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান। সেখানেও তিনি এই কথাটিই বোঝাতে চেয়েছেন। সুবিন ডট কম-এর পাঠকদের জন্য বক্তব্যটির লিখিত রূপ দিয়েছেন তামান্না নিশাত রিনি।

আজ আমি এখানে এসেছি খান একাডেমিতে পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে দুইটি বিষয় সম্পর্কে বলতে, যা শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা শেখার মূল উদ্দেশ্য। বিষয় দুইটি হচ্ছেঃ
- দক্ষতা অর্জনের চিন্তা এবং
- শেখার জন্য নিজের ইচ্ছা।
আমি প্রথমদিকে আমার কাজিনদের সাথে কাজ করার সময় দেখেছি, তাদের অনেকে গণিতে প্রথমদিক থেকেই বেশ দুর্বল ছিলো। গণিতের জ্ঞানের এই ঘাটতি তাদের শেখার প্রথম ধাপেই থেকে গিয়েছিল। এইসব কারণে তাদের জন্য একটি অ্যালজেব্রা ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, কারণ অ্যালজেব্রার প্রাথমিক বা বেসিক শিক্ষা তাদের নড়বড়ে ছিল। সব মিলিয়ে তারা মনে করতো গণিত শেখার জন্য তাদের মেধা নেই। ক্যালকুলাসের ক্ষেত্রেই একই রকম বেসিকের ঘাটতি তাদের ছিল। এই জিনিসগুলো আমি দেখলাম যখন আমি প্রথমদিকে ইউটিউবে এই সংক্রান্ত ভিডিওগুলো আপলোড দেয়া শুরু করি। সেই সাথে আমি আরো দেখলাম আমার কাজিনরা ছাড়াও অন্য অনেকেই আমার আপলোড করা ভিডিওগুলো দেখছে।
প্রথমদিকে আমি শুধু ধন্যবাদসূচক মন্তব্যই ইউটিউবে বেশি পেয়েছি। আমি তখন এই মন্তব্যগুলোকে বিশাল কিছু ভেবে ছিলাম। লেকচারগুলো ছিলো বেশ স্পষ্ট ধারণাযুক্ত, কিন্তু সে অনুযায়ী মন্তব্যগুলো দারুণ রকমের ছিলো না। কমেন্টগুলো স্পষ্ট হলো যখন শিক্ষার্থীরা বলতে শুরু করলো তারা বড় হয়েছে গণিতকে প্রচন্ড রকমের অপছন্দ করে। ব্যাপারগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠলো যখন তারা গণিতের আরো উচ্চতর টপিকের দিকে অগ্রসর হলো। যখন তারা এ্যালজেব্রা শেখা শুরু করলো, তখন তাদের এই বিষয়ের জ্ঞানের এতটাই ঘাটতি ছিল যে, তারা এই বিষয়টি আর পড়তে চাইতো না। কিন্তু যখন তারা একটু বুঝতে পারলো এবং শেখার একটা মাধ্যম পেলো, তখন তারা এই অ্যালজেব্রা কোর্সে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলো। শিক্ষার্থীরা “খান একাডেমি” এর মত রিসোর্স পেলো, যেখানে তারা বেসিক জ্ঞানের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করতে পারলো। একইসাথে তাদের মনের বদ্ধমূল যে ধারণাটি ছিল যে, তারা গণিত শেখার উপযুক্ত নয়, সেটি দূর হলো এবং তারা বুঝতে পারলো আসলেই তাদের গণিত শেখার যথাযথ যোগ্যতা আছে।
জীবনে বিভিন্নভাবে অনেক অনেক বিষয়ে এভাবে ধীরে ধীরেই মানুষ দক্ষ হয়ে উঠে। যেমনঃ মার্শাল আর্ট। মার্শাল আর্ট শেখার সময় প্রথমে হোয়াইট বেল্টের জন্য চর্চা চালিয়ে যেতে হয় যতদিন প্রয়োজন ততদিন। হোয়াইট বেল্ট পাওয়ার জন্য যেসব বিষয়ের চর্চা করতে হয়, যখন সেসব বিষয়ে একজন পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে, তখন তাকে “ইয়েলো বেল্টের” জন্য দক্ষতা অর্জনের যোগ্য মনে করা হয় এবং হোয়াইট বেল্ট থেকে ইয়েলো বেল্টে উত্তীর্ণ করা হয়। একই ঘটনা ঘটে যেকোনো বাদ্যযন্ত্র বা সঙ্গীত শেখার ক্ষেত্রেও। প্রাথমিক বা বেসিক জিনিসগুলো বার বার চর্চা করে আয়ত্বে এনে পরবর্তীতে উচ্চতর ধাপে অগ্রসর হতে হয়।
কিন্তু, যেটা দেখা যায় আমাদের একাডেমিক শিক্ষাব্যবস্থা কিন্তু এমন নয়। আমরা সবাই যে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাগ্রহণ করি, সেখানে এই ধাপে ধাপে কোন কিছু শিখে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করে উচ্চতর ধাপে যাওয়ার সুযোগ নেই। গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় কী হয়? সেখানে বয়স এবং মুখস্থ করার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের একটা গ্রুপ করা হয়। একজন শিক্ষক তাদের সবাইকে একইদিকে একইভাবে পরিচালনা করেন। ধরা যাক আমরা প্রাথমিক- অ্যালজেব্রা ক্লাসের কথা চিন্তা করি, যেখানে পড়ানো হচ্ছে exponents। শিক্ষক প্রথমদিন exponents সম্পর্কে লেকচার দিলেন, কিছু বাড়ির কাজ দিলেন, আমরা বাসায় গেলাম, বাড়ির কাজ করলাম। পরের দিন সকালে সেই বাড়ির কাজ শিক্ষক রিভিউ করলেন, আবার exponents এর কিছু লেকচার দিলেন আবার বাড়ির কাজ দিলেন পরের দিনের জন্য, লেকচার-বাড়ির কাজ, লেকচার-বাড়ির কাজ এভাবে চলতে থাকলো। দুই-তিন সপ্তাহ এভাবে চলার পর একটা পরীক্ষা নেয়া হলো। সেখানে আমি হয়ত ৭৫ পেলাম, তুমি ৯৫ পেলে, আবার কেউ ৯০ শতাংশ নম্বর পেলো। যদিও এই পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা আমাদের জ্ঞানের অপ্রতুলতা শনাক্ত করতে পারি, তারপরেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২৫ ভাগ বিষয়ই অজানা থেকে যায়।
যদিও শেখার সময় আমাদের কিছু ঘাটতি থেকে যায়, তা সত্ত্বেও, পুরো ক্লাস পরের টপিকে চলে যায় যেখানে আরো Advanced বিষয় অপেক্ষা করছে। সে বিষয়টি আবার আগে আমরা যা বেসিক কোর্সে শিখে আসি নি, সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই তৈরি। যেমনঃ লগারিদম বা নেগেটিভ Exponents। ঐ একই বাড়ির কাজ-লেকচার প্রক্রিয়ায় এই কোর্সও অগ্রসর হতে থাকে। একটা সময় আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করি বিষয়গুলো বেশ অদ্ভুত। যেখানে আমি এই বিষয়ের ২৫ শতাংশ মূল বিষয়ই জানি না, সেখানে আমাকে অনেক জটিল জিনিস দেখানো হচ্ছে। অ্যালজেব্রার মূল বিষয় যে কঠিন তা কিন্তু নয়, বা শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট মেধা নেই তাও সত্যি নয়। একমাত্র কারণ, বেসিক জ্ঞানের ঘাটতি, যেখানে একটা ইক্সপোনেন্টের ইকুয়েশন লেখা হচ্ছে যার ৩০ শতাংশ বিষয়-ই আমি জানি না। এবং সেখান থেকেই গণিতের সাথে আমার বিচ্ছিন্নতার সূচনা হয়।
যদি আমরা এই জিনিসের সাথে আমাদের দৈনন্দিন কাজের তুলনা করি, তাহলে বুঝা যায় ব্যাপারটা কতটা অদ্ভুত। যেমনঃ বাড়ি তৈরি করা। আমরা একজন কনট্রাকটারকে ডেকে এনে বললাম, “দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের বাড়ির ফাউন্ডেশন তৈরি হতে হবে। তুমি যা পারো কর।” সুতরাং, তাদের যা করার তারা করলো। হয়ত এই দুই সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হলো, বাড়ি তৈরির উপকরণগুলো ঠিকঠাকমত সাইটে পৌঁছালো না। দুই সপ্তাহ পর পর্যবেক্ষক এলেন এবং এসে বললেন, “এখানে কংক্রিট ঠিকমত জমেনি, একটু ভিজে আছে, এখানে ইট ঠিকমত বসেনি। ঠিক আছে আমি এটাকে ৮০% ঠিকঠাক সার্টিফিকেট দিলাম।” তুমি বললে, “WOW, চলো দোতলা বানানো শুরু করি।” একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হয় দোতলা বানানোর ক্ষেত্রেও। আমরা যা করার করি , পর্যবেক্ষককে দেখাই তিনি এবার হয়ত ৭৫% ঠিকঠাক বললেন। এভাবে দুইতলা, তিনতলা করে বানানো চলতে লাগলো। হঠাৎ, তিনতলা বানানোর সময় পুরো বিল্ডিংটা ধপাস করে পরে গেল। তখন যদি আমাদের প্রতিক্রিয়া হয় এমন, যেমনটি আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় দেখাই, যেমন আমরা বলতে পারি, আমাদের কন্ট্রাকটার ভালো ছিলো না, পর্যবেক্ষক ঠিকমত কাজ করেনি। আরো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার দরকার ছিলো। কিন্তু ততক্ষণে পুরো প্রসেসটাই ভেঙ্গে পরেছে। কারণ আমরা জানতাম যে সেখানে ঘাটতি আছে তারপরেও আমরা এই ঘাটতির উপর ভিত্তি করেই নির্মানকাজ চালিয়ে গিয়েছিলাম।
কোনোকিছু শেখার সময় সেই বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ পাণ্ডিত্য অর্জন করার প্রক্রিয়া কিন্তু সম্পূর্ণ এর বিপরীত। শেখার জন্য কাউকে বাধ্য না করে, কেউ যখন একটি বিষয় শিখছে তখন যদি তার কোনো সমস্যা হয়, সেটি তখনই দূর করে দেয়া হয়, তবে সেটি বেশি ফলপ্রসূ হবে। একটি বিষয়ের উপর কতক্ষণ এবং কতটুকু সময় দিতে হবে সেটাই মূল বিষয় এবং এভাবে যেটা হয় একজন শিক্ষার্থী তার দুর্বলতা কাটিয়ে একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠে।
এটা বুঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, এভাবে শিখলে একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র একটি বিষয়ে পারর্দশী হবে না, সেই সাথে তার মানসিকতা দৃঢ় হবে। এটি তাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে, যদি কোন বিষয়ে তুমি ২০ নম্বর কম পাও, তার মানে এই নয় যে তুমি সি গ্রেড ছাত্রের ডিএনএ নিয়ে জন্ম নিয়েছো । এর অর্থ হচ্ছে, এই বিষয়ের উপর তোমার আরো অনেক বেশি সময় দিতে হবে। তোমার মনের জোর দৃঢ় করতে হবে; তোমার অধ্যবসায় থাকতে হবে; তোমার শেখার উপর তোমাকে কর্তৃত্ব করতে হবে।
এখন অনেক সংশয়বাদী বলবে, এই ব্যবস্থা অবশ্যই সুন্দর। যেখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্তৃত্ব অর্জনের ব্যাপার আছে, মানসিক দৃঢ়তার সম্পর্ক আছে । ব্যাপারটা যথেষ্ট অর্থপূর্ণ হলেও, অবাস্তব। এভাবে করলে প্রতিটা শিক্ষার্থী তাদের নিজস্ব পথে থাকবে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত করতে হবে, প্রতিটি ছাত্রের জন্য আলাদা আলাদা প্রাইভেট টিউটর এবং ওয়ার্কশীটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কর্তৃত্ব-ভিত্তিক এই ধরণের শিক্ষার ধারণা কিন্তু নতুন না। ১০০ বছর আগে Winnetka, Illinois-এ পরীক্ষামূলকভাবে এই শিক্ষানীতি চালানো হয়েছিল। পরে সেখান থেকে বলা হয়, কারিগরিভাবে এটা আসলেই সম্ভবপর না। সেই প্রজেক্টে প্রত্যেকটি ছাত্রকে আলাদা আলাদা ওয়ার্কশীট দিতে হতো এবং চাহিদা মোতাবেক তাদের মূল্যায়ন করতে হতো।
কিন্তু এখন এই ব্যাপারটা অসম্ভব না। আমাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ আছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের সময় এবং দরকার অনুযায়ী দেখার সময় পাচ্ছে কী? হ্যাঁ, পাচ্ছে কারণ তাদের দরকার মত ভিডিও আছে। তাদের অনুশীলন দরকার? তাদের অনুশীলনের ফলাফল দরকার? সেখানে তাদের জন্য বিভিন্ন অনুশীলন করার বিষয় তৈরি করা আছে। এর ফলে সব সুন্দর সুন্দর ঘটনা ঘটে। প্রথমত, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শেখার বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করে, আসলে কিন্তু এর মাধ্যমে তারা নিজেদের মানসিক ক্ষমতাকে দৃঢ় করে গড়ে তোলে, তারা অধ্যবসায়ী হয়ে উঠে। আনন্দদায়ক ঘটনা ঘটে তাদের শ্রেণিকক্ষে। শিক্ষকের লেকচারের উপর মনোযোগ দেয়ার বদলে তারা একে অন্যের সাথে মত বিনিময় করতে শিখে। তারা তাদের শেখার বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করে।
আমাদের এই চিন্তাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য, এখন আমি একটা চিন্তা পরীক্ষার কথা বলবো। চিন্তা করা যাক, ৪০০ বছর আগের শিক্ষা সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ পশ্চিম ইউরোপের কথা। তখন তাদের জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ পড়তে পারতো। সে সময়ের কাউকে যদি প্রশ্ন করা হতো, “তোমাদের জনসংখ্যার কত শতাংশ মানুষ পড়তে পারে?” উত্তর পাওয়া যেতঃ “হয়ত ১৫-২০ শতাংশ।” বর্তমানে এই জরিপ চালালে তোমারাই জানো ফলাফল আসবে যথেষ্ট ইতিবাচক, সম্ভাবনা এতই ভাল যে বলা যায় ১০০ শতাংশ লোকই পড়তে পারবে। কিন্তু যদি এই প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে করা হয় যে, “জনসংখ্যার কত শতাংশ ক্যালকুলাস বা জৈব রসায়ন বুঝে? কত শতাংশ ক্যান্সারের গবেষণায় অবদান রাখতে পারবে? ” অধিকাংশই উত্তর দিবে, “অত্যাধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত জনগণের হয়ত ২০-৩০ শতাংশ”।
কেমন হবে যদি এই পরীক্ষার হিসাব গতানুগতিক শিক্ষা কাঠামোয় নিজের অভিজ্ঞতার উপর হিসাব করে করা হয় অথবা নিজের বন্ধুদের নিয়ে করা হয়ঃ যেখানে সবাইকে ক্লাসের সাথে একই গতিতে নিয়ে যাওয়া হয়, শেখার ঘাটতিকে সাথে নিয়ে। এক্ষেত্রে যখন তুমি ৯৫ শতাংশ নম্বর পাচ্ছো, তখনো তুমি কিন্তু জানো না কোন ৫% তুমি জানো না।এভাবে ধীরে ধীরে জ্ঞানের ঘাটতি বাড়তে থাকে- তুমি উপরের আরেকটি ক্লাসে চলে যাও। একসময় তোমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়, তুমি বল, “আমি ক্যান্সার গবেষক হতে পারবো না; আমি পদার্থবিদ হতে পারবো না; আমি গণিতজ্ঞ হতে পারবো না।” কর্তৃত্ব-ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় যদি তোমাকে চালানোর সুযোগ দেয়া হয়, যদি তোমাকে তোমার শেখার সঠিক মাধ্যমটি দেয়া হয়, তখন যদি শেখার সময় তুমি কোনো ভুল কর – ভুলের এই মুহূর্তটিকে শেখার মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা কর। তারপর তখন যে নম্বর, যে শতকরা নম্বরটি জৈব রসায়ন বা ক্যালকুলাসে তুমি পাবে সেটিতে তোমার দক্ষতার হার অবশ্যই হবে ১০০ এর অনেক কাছাকাছি।
এটি শুধুমাত্র দেখতে সুন্দর নয়, আমি মনে করি এটি সামাজিকভাবে অপরিহার্য। বলতে খুবই শিহরণ জাগে, শিল্প বিপ্লবের মত এখন তথ্য বিপ্লব আমরা ঘটাতে পেরেছি। শিল্পযুগে সমাজ ছিল একটি পিরামিডের মত। যে পিরামিডের নিম্নাংশে ছিল শ্রমজীবি মানুষের শ্রম, মাঝে ছিল ইনফরমেশন প্রসেসিং এবং পিরামিডের চূড়ায় ছিল মূলধন এবং উদ্যোক্তারা। কিন্তু আমরা তথ্য বিপ্লবের এই যুগের দিকে তাকালে দেখি, এর প্রথমেই রয়েছে অটোমেশন এবং পরে আছে ইনফরমেশন প্রসেসিংঃ যা করতে কম্পিউটার অতিমাত্রায় পারদর্শী।
আমি সত্যিকার অর্থেই মনে করি, কর্তৃত্ব ভিত্তিক শিক্ষায় একজন মানুষের ভিতরের শক্তিকে তাতিয়ে দেয়া হয়, যেন তারা তাদের শেখার মাধ্যমের উপর চর্চা চালিয়ে একটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠে। যখন একজন বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তুমি এই ব্যাপারটি চিন্তা করবে, তুমি অনেক বেশি আনন্দিত হবে। আমি মনে করি বেঁচে থাকার জন্য সামনে অনেক সুন্দর সময় আসতে যাচ্ছে।
সত্যি একটি অসাধারন লিখা । শিল্পবিপ্লবে পিরামিডের শুরুতে ছিল শ্রমজীবি মানুষ , মাঝে প্রসেসিং আর উপরে বুর্যোয়া আর তথ্যবিপ্লবে শুরুতে অটোমেশন আর তারপর প্রসেসিং – ইন্টারেস্টিং ।
তবে আরেকটা পয়েন্ট বেশ ভালো লাগলো – মার্ক যাই পাও দক্ষতা হবে শতভাগ – এটা সত্যি এমেজিং ছিল ।
আর নতুন টার্ম শিখলাম কর্তৃত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থা ।
শিখার অনেক আয়োজন সাজানো আছে এই সাইটে – পড়তে চাই শিখতে চাই ।
ধন্যবাদ সুবিন ভাই এই অসাধারন উদ্যেগের জন্য ।
আসলেই সুন্দর লাগল সম্পুর্ণ পড়ে
।অনেক আশা জাগাল ধন্যবাদ ‘তামান্না নিশাত রিনি’আপুকে এত সুন্দ্রর আগ্রহ জাগানো লিখার জন্য
আশা করি আররো সুন্দর লেখার জন্য। অনেক ভালো লাগল .। ধন্যবাদ সুবিন ভাইকে।।